মোহাম্মাদ কাসিমের ১ম রহমানী সপ্ন

লাল সিড়িটি আমাকে সরাসরি মহাবিশ্বের রবের কাছে পৌঁছে দিচ্ছিল:

https://muhamadqasim.blogspot.com

মোহাম্মাদ কাসীম বলেন, ৪ বা ৫ বছর বয়সে প্রথম এই রহমানী স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। 

৫ বছর বয়সে আমি স্কুলে যাওয়া শুরু করি। এবং যখন আমি প্রথম স্বপ্ন দেখি তখন স্কুলে যাওয়া শুরু করিনি। তাই আমি ধারণা করেছি ৪ বা ৫ বছর বয়সে প্রথম আমি রহমানী স্বপ্নটা দেখি।

ছোটবেলায় গ্যাস বেলুনের প্রতি আমার অনেক আগ্রহ ছিল
এবং আমি সেগুলো কিনতাম ও আকাশে ছেড়ে দিতাম। এই স্বপ্নে আমি বাড়িতে ছিলাম এবং বড় ভাই জাবেদ বাহির থেকে এসে আমাকে বলল, বেলুনওয়ালা এসেছে, সে চলে যাওয়ার আগে তুমি তোমার বেলুন কিন, না হলে তুমি কান্নাকাটি শুরু করবা।

আমি আম্মার কাছ থেকে টাকা নিয়ে বাহিরে গেলাম এবং বেলুনওয়ালাকে একটা গ্যাস বেলুন দিতে বললাম। বেলুনে গ্যাস ভরার সময় বেলুনওয়ালা আমাকে বলল, কাসীম, তুমিকি জান ? তোমাদের বাড়ির ছাঁদে একটি সিঁড়ি আছে যা সরাসরি আকাশে চলে যাচ্ছে।

আমি খুব অবাক হলাম এবং একটু উত্তেজনা অনুভব করলাম, কারণ আমি জানতে চাইতাম যে, বেলুনগুলো হাত থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর আকাশে কোথায় যায় ? এইটা দেখার জন্য আমি দৌঁড়াইয়া আমাদের ঘড়ের ছাঁদে গেলাম, আমি এত বেশি উত্তেজিত ছিলাম যে, আমি বেলুন নিতে ভুলে গেলাম

আমি যখন ছাঁদে গেলাম তখন সত্যিই সেখানে সিঁড়ি দেখতে পেলাম। লাল রঙের ইটের তৈরী, মোগল স্থাপতের মত দেখতে, চক্রাকারে আকাশের দিকে উঠে গেছে। আমি সিঁড়ি দেখে খুব খুশি হলাম। এবং সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠা শুরু করলাম

অনেক উপরে উঠে নিচে তাকালাম, ঘরবাড়ী খুব ছোট মনে হয়েছিল। এইগুলো দেখে আমি বেশ খুশি হলাম। এবং আমার খুশি বাড়তে থাকল, যেন তা শেষ হবার নয়। আমি আরো উপরে উঠলাম এবং মেঘ দেখতে পারলাম এবার আরো বেশী খুশি হলাম।

তারপর হঠাৎ আমার মনে হল, আমি ক্লান্ত হয়ে গেলে নিচে নামতে পারব না এবং আম্মা আমাকে খুঁজতে হয়রাণ হয়ে যাবে। তারপর আমি বললাম আমি ক্লান্ত হইনি, ক্লান্ত হলে আমি নিচে নেমে যাব।

এরপর আমি আরো উপরে উঠলাম। হঠাৎ আমার মনে হল, এই সিঁড়ি সরাসরি মহাবিশ্বের মালিক আল্লাহ্‌র কাছে চলে যাচ্ছে। অত্যন্ত খুশি ও আনন্দে আমার শরীর ও মন শিহরিত হল। আমি সর্বশক্তি দিয়ে উপরে উঠতে থাকলাম, যেন তাড়াতাড়ি মহান আল্লাহ্‌র কাছে যেতে পারি। 

স্বপ্নটি এখানেই শেষ হয়...

No comments

Theme images by compassandcamera. Powered by Blogger.