লাহোরে হামলার পরিকল্পনা করছে ভারতে

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর খাদ্যে ভাইরাসঃ


https://muhamadqasim.blogspot.com

মোহাম্মাদ কাসীম বলেন, ২০ মার্চ ২০১৭ তারিখের একটি স্বপ্ন।

আমি আফগানিস্তানের সীমান্তের মত দেখতে পাকিস্তানি সীমান্তে একটি এলাকা দেখতে পাই। এবং শত্রুরা সেখান থেকে পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের পাঠায়। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এই সন্ত্রাসীদেরকে খুবই দক্ষতার মোকাবিলা করেছে এবং তাদেরকে নির্মূল করেছে।

এই ঘটনা দেখে শত্রুরা খুব রাগান্বিত হয় যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী সবসময়ই তাদের পথের কাঁটা। তারপর শত্রুরা তাদের একদল প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসীদের পাকিস্তানে পাঠায় এবং তারা তাদেরকে রাতে দেখার জন্য বিশেষ দৃষ্টি যন্ত্র ও আধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করে। কিন্তু তারা পাকিস্তানী সীমান্তে প্রবেশ করার সাথে সাথেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাদেরকে সনাক্ত করে ফেলে এবং প্রতিটি সন্ত্রাসীকে বের করে দেয়।

এইসব দেখতে পেয়ে সন্ত্রাসীরা খুব হতাশ এবং রাগান্বিত হয়, কারণ তাদের প্রতিটি পরিকল্পনাই একের পর এক ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। তারপর তারা অন্য পরিকল্পনা করে এবং অভ্যন্তরীণ আক্রমণ চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়, পাকিস্তানকে অভ্যন্তরীণভাবে দুর্বল করে দেয়াই তাদের উদ্দেশ্য। তাই তারা সীমান্ত থেকে আক্রমণ শুরু করে এবং একই সাথে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর খাদ্যে এক ধরণের ভাইরাস বা রাসায়নিক মিশ্রিত করে। যা খাওয়ার পরে সেনাবাহিনী মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় একারণে তারা ঠিকমতো নড়াচড়া করতেও পারছিলো না।

তখন শত্রুরা বললো যে, এখন আমরা পাকিস্তানে আক্রমণ করবো। তারপর ভারত পূর্ব সীমান্ত থেকে পাকিস্তানকে আক্রমণ করে এবং আফগানিস্তান পশ্চিম সীমান্ত থেকে আক্রমণ করে। ভারত লাহোরে একটি বিশাল খারাপ আক্রমণ শুরু করে এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনী এই হামলাটি প্রতিহত করতে সক্ষম হয়নি।

তখন পাকিস্তানের সাধারন মানুষ অস্ত্র ও গোলাবারুদ হাতে নেয় এবং ভারতের সাথে লড়াই করতে থাকে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাথে লড়াইয়ের করার জন্য আমিও সীমান্তের দিকে নজর দিচ্ছিলাম। আমি একটি বড় মেশিনগান খুঁজে পাই এবং শত্রুদের দিকে গুলি ছুড়তে শুরু করি। আমার সাথে অন্যান্য সৈন্যও আছে।

যখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং জনসাধারণ একসঙ্গে লড়াই করতে থাকে কিন্তু এর বিপরিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী তখন চুপ থাকে। এই সময় আমি আমাদের লোকজনদের বলি যে, আমাদের ফিরে যাওয়া উচিত এবং আমাদের জনসাধারণকে একটি নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করতে হবে, কারণ আমরা ভারতীয় সেনাদেরকে খুব বেশিক্ষণ আটকে রাখতে পারব না। তখন কিছু লোক বলে যে, আমরা এখানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে এসেছি এবং আমরা মরতে প্রস্তুত, কিন্তু আমরা ফিরে যাব না।

তারপর যখন আমরা শহরে ফিরে যাই তখন কিছু লোক বলেছিল যে, যদি সেনাপ্রধান কাসীমের স্বপ্ন বিশ্বাস করতেন এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতেন তবে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারতো। এবং এইসব বিশৃঙ্খলার সময় লাহোরের একটি বড় অংশ ধ্বংস হয়ে যায়।

তারপর আমি একটি জায়গায় যাই যা একটি ভবনের ভূগর্ভস্থ ভিত্তির মত ছিলো। তখন আমার মনে হয় আমি কোনো একটি জায়গার খোঁজ করছি। এই সময়ে একটি লাল রঙের পতাকাযুক্ত দেশ ভারতকে খুব কঠোর হুশিয়ারি দেয় যে, আপনারা সেনাবাহিনীকে বেরাকে ফেরিয়ে নিন। অন্যথায় আমরা আপনাদেরকে ধ্বংস করবো। তারপর এই দেশটি পাকিস্তানকে সাহায্য করে। তারা পাকিস্তানি সেনাদের চিকিৎসা করার জন্য তাদের ডাক্তারদেরও পাঠায়। রাষ্ট্রের প্রধান তাদের নৈতিক সমর্থন প্রদর্শন করতে নিজেই পাকিস্তান সফর করেন। পাকিস্তানকে সাহায্য করার কারণে তাদের কিছু ক্ষতিও বহন করতে হয়েছিলো কিন্তু তবুও তারা এই বিষয়ে অভিযোগ করেনি।

সেই সময় ভারতের ড্রোনগুলি তাদের সস্তা কৌশল অবলম্বন করে এবং পাকিস্তানে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া পাঠায়। এই কারণে পাকিস্তানি শিশুদের একটি বিশাল পরিমাণ প্রভাবিত হয় এবং অসুস্থ হয়। এই দুঃখজনক পরিস্থিতি দেখে আমি আল্লাহ্‌র কাছে দোয়া করি এবং তাঁর সাহায্য চাই। আল্লাহ্‌ তাঁর রহমত দ্বারা বৃষ্টি পাঠান এবং সব ভাইরাস অদৃশ্য হয়ে যায়।

তারপর আমি একটি গন্তব্যের দিকে দৃষ্টি স্থির করি এবং আমার পথে আমি একটা এলাকা দেখি যা তৃণভূমির মত দেখাচ্ছিল। লাল পতাকার দেশের রাষ্ট্র প্রধান, যিনি পাকিস্তানকে সাহায্য করেন, তিনিও সেখানে আছেন। তিনি মানুষের মধ্যে বসা এবং তাদের সাথে কথা বলতেছিলেন। আমাকে দেখার পর তিনি আমাকে চিনতে পারেন এবং বলেন, আপনি কাসীম, তাই না? আমি আপনার স্বপ্ন সম্পর্কে শুনেছি এবং যা ভালভাবে সত্য হওয়া শুরু হয়েছে।

তাকে শুভেচ্ছা জানানোর পর আমি একটি জায়গা খুঁজতেছিলাম, এবং আমি মনে করি যে, এই জায়গা খুঁজে না পেলে আমরা এই সমস্যা থেকে বের হতে পারব না।

স্বপ্ন এখানেই শেষ হয়...

No comments

Theme images by compassandcamera. Powered by Blogger.