পাকিস্থান চরম সংকটেঃ জ্বালানি হচ্ছে ডলার

পাকিস্থান সেনাপ্রধান এর সাথে মোহাম্মাদ কাসিমের সাক্ষাৎঃ 

https://muhamadqasim.blogspot.com

মোহাম্মাদ কাসীম বলেন, ২৬ মে ২০১৮ সালের স্বপ্নে আমি চিন্তা করছিলাম

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর খাদ্য এমন কি মিশানো হয় যে, শত্রুরা তাদের ক্ষতি করতে পারে? তারপর আমি একটি কণ্ঠ শুনতে পেয়েছি যে বলেছে, এটা হচ্ছে ডলার এবং জ্বালানী। যদি দুটি শেষ হয়ে যায় তাহলে সেনাবাহিনী পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যাবে এবং কোন রূপ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে না। তারপর আমি মনে করি যে, ডলার থেকে জ্বালানি তেল কেনা হয়, যদি ডলার শেষ হয়ে যায় তবে তারা জ্বালানী তেল কিনতেও সক্ষম হবে না।

তারপর আমি দেখতে পাই পাকিস্তানের অবস্থার অবনতি হয়েছে। পাকিস্তানকে ঋণ পরিশোধ করতে বলা হয়েছিল যা আমাদের পক্ষে করা সহজ ছিলনা। যদি আমরা কিস্তি পরিশোধ করি, তাহলে সেখানে কোনো ডলারের ভাণ্ডার থাকবে না। সেনা কর্মকর্তারা নির্দেশ দিয়েছেন যে, বিদেশী পাকিস্তানিদের আমাদের কাছে ডলার পাঠানো উচিত যাতে আমরা জ্বালানি কিনতে পারি।

আমি নিজেকে জিজ্ঞেস করলাম যে, কতক্ষণ ধরে তারা আমাদের কাছে ডলার পাঠাতে থাকবে, তাদের অবশ্যই তাদের নিজস্ব চাহিদাও পূরণ করতে হবে, কেন সেনাবাহিনী এত অকার্যকর পরিকল্পনা করছে? তারপর ঋণ পরিশোধ করা হয় এবং অবশিষ্ট ডলার হিসেবে কিছুই মজুদ ছিলো না।

এরপর আমি দেখি সেনাপ্রধানকে খরচ কমানোর জন্য সব ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করতে ছিলেন। এতটাই যে, টিভি চ্যানেলগুলিও সরকারী সেবা বার্তা সম্প্রচার শুরু করে, যাতে নাগরিকরা সহজতর জীবনধারা গ্রহণ করেন। ক্রীড়া এবং ইভেন্টের মত সমস্ত অতিরিক্ত কার্যক্রম সীমাবদ্ধ করা হয়। তারপর সেনাবাহিনী খোলাখুলি স্বীকার করে যে, পরিস্থিতি খুবই খারাপ। অন্যদিকে শত্রুরা ৪ থেকে ৫ টি বড় শহরগুলোতে বিশৃঙ্খলা তৈরির পরিকল্পনা করতে থাকে, যাতে সেনাবাহিনীর জন্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

তারপর আমি এক বড় সেনা কর্মকর্তার সাথে দেখা করতে যাই। আমি মনে করি এটা লেফটেন্যান্ট জেনারেলের বাড়ি ছিল। আমি সেখানে তার জন্য অপেক্ষা করছিলাম যাতে আমি তাকে আমার স্বপ্ন সম্পর্কে জানাতে পারি। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর, আমি কিছু একটার জন্য বাইরে যাই। আমি বাইরে অনেক নিরাপত্তা দেখি, এবং রাস্তার উভয় পাশ অবরোধের মাধ্যমে ঘরটিকে সুরক্ষিত করা হয়েছিল।

হঠাৎ দুটি বড় গাড়ি দেখা যায়। দরজা খোলা হয় এবং তারা বাড়িতে প্রবেশ করে। আমি অবিলম্বে ভিতরে যাই যাতে আমি অফিসারের সাথে দেখা করতে পারি। যখন আমি ভিতরে যাই, আমি বুঝতে পারি ইনি আর অন্য কেউ নন, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান। তারপর আমি বুঝতে পারি যে, এই অবরোধ এবং নিরাপত্তা এই কারণেই ছিল। আমি আমার একটি স্বপ্নের কথা স্মরণ করি, যেখানে পাকিস্তান সেনাপ্রধান এর জীবন ঝুকির মধ্যে ছিল।

যাইহোক, আমি ভিতরে গিয়ে সেনা প্রধানের সন্ধান করি। আমি সম্ভবত তাকে টিভির কক্ষে খুঁজে পাই। আমি তাকে আমার সালাম জানাই। এবং তাকে বলি যে, তার সাথে আমার একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস নিয়ে কথা বলার আছে। তিনি আমাকে ডাইনিং রুমে নিয়ে গেলেন যেখানে আমি তাকে আমার স্বপ্নের কথা বলতে শুরু করি। তিনি শান্তভাবে আমার কথা শোনেন। আমি তাকে গাযওয়া ই হিন্দ সম্পর্কেও ভালভাবে বলি। এবং কিভাবে বিশৃঙ্খলা ঘটবে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে যাবে এবং কিভাবে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হবে। পাকিস্তানের কৌশল কী হওয়া উচিত? আমি তাকে আরও বললাম যে, বিশ্বের মুসলমানরা গাজওয়া ই হিন্দের প্রথম বিজয় দেখতে পাবে, এবং সেনারা কীভাবে এর জন্য পরিকল্পনা করবে?

আমার বক্তব্য শোনার পর সেনাপ্রধান বলেন, কাসীম আমার কথা শোনো, এই সব স্বপ্ন এবং বাস্তবতার সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই। আমরা পাকিস্তান প্রতিরক্ষার জন্য সবকিছু করব। এখন এটা একটি কঠিন সময় অতিবাহিত হচ্ছে, কিন্তু আমরা অচিরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিবো।

স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল...

No comments

Theme images by compassandcamera. Powered by Blogger.